ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবার দাফন সম্পন্ন Logo আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল সিলেট Logo রাষ্ট্রদূত মুসফিকুল ফজল আনসারীর পিতার মৃত্যুতে মিফতাহ সিদ্দিকীর শোক প্রকাশ Logo পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে Logo আর্সেনাল ম্যাচের ১০ জনকে বেঞ্চে রেখে লিগে টানা হার পিএসজির Logo সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ২ জন: প্রতিবেদন Logo খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার Logo ফুলবাড়ীতে দুই একর জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী এর মতবিনিময় সভা Logo অনিয়মের অভিযোগে তিন ইউনিয়নে বিএনপি সম্মেলন স্থগিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স পরীক্ষা নিয়ে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৮৭১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের নিয়মিত/অনিয়মিত, প্রাইভেট, গ্রেড উন্নয়ন ও সিজিপিএ, এমএ, এমএসএস, এমবিএ, এমএসসি, এম মিউজ, আইসিটি শেষ পর্বের পরীক্ষা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। চলবে ১১ মার্চ পর্যন্ত।

নির্ধারিত তারিখ ও সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় পরীক্ষা শুরু হবে। রুটিন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া মাস্টার্সের পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মার্চ।

এর মধ্যে প্রথম সপ্তাহে চারটি, দ্বিতীয় সপ্তাহে চারটি, তৃতীয় সপ্তাহে পাঁচটি এবং চতুর্থ সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে দুটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সব মিলিয়ে ২৩ দিনে শেষ হবে মাস্টার্স শেষ বর্ষের সব কোর্সের পরীক্ষা।

বিগত চার বছরের পরিক্ষার সময় সূচি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতিবছরই পরীক্ষার্থীরা প্রতিটি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কয়েকদিন করে ছুটি পেয়েছেন। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের পরীক্ষা হয়েছিল ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৫২ দিন, ২০১৯ সালের পরীক্ষা হয়েছে ২০২২ সালের ১০ মে থেকে ১৫ জুন ৩৭ দিন, ২০১৮ সালের পরীক্ষা হয়েছে ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ ৩৭ দিন, ২০১৭ সালের পরীক্ষা হয়েছে ২০১৯ সালের ২২ জুন থেকে ৫ আগস্ট ৪৫ দিন। কিন্তু আসন্ন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা সেই সময় পাবেন না জেনেই ক্ষোভ জানিয়েছেন।

বিভিন্ন কলেজের মাস্টার্সের পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে অনেকেই জানান, এক বছরের মাস্টার্স শেষ করতে আমাদের ৩ বছর লাগিয়ে দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখন প্রতিদিন পরীক্ষা দেওয়া আমাদের জন্য খুবই কঠিন হবে।

পরিক্ষার্থীরা আরো বলেন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে রুটিন দিয়েছে, সেখানে চার ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়ে এসে একজন শিক্ষার্থী কখনোই পরের দিনের প্রস্তুতি নিতে পারবে না। তাই রুটিন পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।

সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো কোর্সের পরীক্ষা রেখে রুটিন সাজিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যে কারণে প্রতিটি পরীক্ষার মাঝে আর আগের মতো প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাবেন না শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ তারা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোও সরগরম। শিক্ষার্থীদের দাবি, নতুন করে পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হোক।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, আগে সপ্তাহে ছয় দিন, এমনকি রোজার মধ্যেও পরীক্ষা হতো। এখন সেটি সম্ভব নয়। আগে শনিবার বন্ধ ছিল, এখন শুক্র ও শনিবার দুদিন বন্ধ থাকে। ৭ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের বন্ধ থাকবে। এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে জুন মাসে আরও দেড় মাস বন্ধ রাখতে হবে। মাস্টার্সের পরীক্ষা ছাড়াও অনার্স ও ডিগ্রির কয়েকটি পরীক্ষা হবে। সূচির সময়সীমার মধ্যে পরীক্ষা নিতে না পারলে এটি চলে যাবে এপ্রিলের পরে। সেজন্যই মাস্টার্সের পরীক্ষার সময় সংকুচিত করতে হয়েছে। এর ফলে সপ্তাহে পাঁচ দিনই পরীক্ষা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স পরীক্ষা নিয়ে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

নিউজ ডেস্ক:

গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের নিয়মিত/অনিয়মিত, প্রাইভেট, গ্রেড উন্নয়ন ও সিজিপিএ, এমএ, এমএসএস, এমবিএ, এমএসসি, এম মিউজ, আইসিটি শেষ পর্বের পরীক্ষা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। চলবে ১১ মার্চ পর্যন্ত।

নির্ধারিত তারিখ ও সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় পরীক্ষা শুরু হবে। রুটিন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া মাস্টার্সের পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মার্চ।

এর মধ্যে প্রথম সপ্তাহে চারটি, দ্বিতীয় সপ্তাহে চারটি, তৃতীয় সপ্তাহে পাঁচটি এবং চতুর্থ সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে দুটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সব মিলিয়ে ২৩ দিনে শেষ হবে মাস্টার্স শেষ বর্ষের সব কোর্সের পরীক্ষা।

বিগত চার বছরের পরিক্ষার সময় সূচি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতিবছরই পরীক্ষার্থীরা প্রতিটি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কয়েকদিন করে ছুটি পেয়েছেন। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের পরীক্ষা হয়েছিল ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৫২ দিন, ২০১৯ সালের পরীক্ষা হয়েছে ২০২২ সালের ১০ মে থেকে ১৫ জুন ৩৭ দিন, ২০১৮ সালের পরীক্ষা হয়েছে ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ ৩৭ দিন, ২০১৭ সালের পরীক্ষা হয়েছে ২০১৯ সালের ২২ জুন থেকে ৫ আগস্ট ৪৫ দিন। কিন্তু আসন্ন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা সেই সময় পাবেন না জেনেই ক্ষোভ জানিয়েছেন।

বিভিন্ন কলেজের মাস্টার্সের পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে অনেকেই জানান, এক বছরের মাস্টার্স শেষ করতে আমাদের ৩ বছর লাগিয়ে দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখন প্রতিদিন পরীক্ষা দেওয়া আমাদের জন্য খুবই কঠিন হবে।

পরিক্ষার্থীরা আরো বলেন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে রুটিন দিয়েছে, সেখানে চার ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়ে এসে একজন শিক্ষার্থী কখনোই পরের দিনের প্রস্তুতি নিতে পারবে না। তাই রুটিন পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।

সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো কোর্সের পরীক্ষা রেখে রুটিন সাজিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যে কারণে প্রতিটি পরীক্ষার মাঝে আর আগের মতো প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাবেন না শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ তারা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোও সরগরম। শিক্ষার্থীদের দাবি, নতুন করে পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হোক।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, আগে সপ্তাহে ছয় দিন, এমনকি রোজার মধ্যেও পরীক্ষা হতো। এখন সেটি সম্ভব নয়। আগে শনিবার বন্ধ ছিল, এখন শুক্র ও শনিবার দুদিন বন্ধ থাকে। ৭ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের বন্ধ থাকবে। এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে জুন মাসে আরও দেড় মাস বন্ধ রাখতে হবে। মাস্টার্সের পরীক্ষা ছাড়াও অনার্স ও ডিগ্রির কয়েকটি পরীক্ষা হবে। সূচির সময়সীমার মধ্যে পরীক্ষা নিতে না পারলে এটি চলে যাবে এপ্রিলের পরে। সেজন্যই মাস্টার্সের পরীক্ষার সময় সংকুচিত করতে হয়েছে। এর ফলে সপ্তাহে পাঁচ দিনই পরীক্ষা হবে।