তুরস্কের পার্লামেন্টে মারামারিতে লিপ্ত হলেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। শুক্রবার (১৬ আগসট) বৈঠক চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে। এসময় কারাবন্দি বিরোধী দলীয় এক নেতার সমর্থনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মঞ্চে দাঁড়িয়ে কারাবন্দি নেতা আতালিকে নিয়ে কথা বলছিলেন বিরোধীদলীয় ওয়ার্কারস পার্টি অব টার্কির (টিআইপি) সদস্য আহমেদ সিক। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তার দিকে ক্ষমতাসীন একেপি পার্টির আইনপ্রণেতাদের ধেয়ে যেতে দেখা যায়। এসময় কিছু ব্যক্তিদের অন্যকে আঘাত করতে এবং কিছু ব্যক্তিকে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করতেও দেখা যায়।
সরকার উৎখাতের এক পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আতালিকে ২০২২ সালে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
কারাবন্দি থাকাকালীনই গত নির্বাচনে টিআইপি থেকে জয়লাভ করেন আতালি। এর পর পার্লামেন্টে তার সদস্যপদ কেড়ে নেয় এবং ১ আগস্ট আদালতের রায়ে তিনি সেটি ফিরেও পান।
শুক্রবার মারামারি শুরু হবার আগে আহমেদ সিক বলেছিলেন, ‘আতালিকে আপনারা সন্ত্রাসী ডাকলে আমরা অবাক হই না। আপনাদের পক্ষে না থাকলেই এসব বলেন। তবে এখানে যারা বসে আছেন তারাই হচ্ছেন সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী।’ এ কথা বলার পরই আহমেদ সিকের দিকে তেড়ে যান একেপি’র আল্পেই ওযালান।
সংঘর্ষের পর সভা মুলতবি ঘোষণা করেন ডেপুটি স্পিকার। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় পর কার্যক্রম শুরু হলে স্পিকার সভাপতির দায়িত্ব নেন।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যের জন্য আহমেদ সিককে এবং তাকে আঘাত করার জন্য ওযালানকে তিরস্কার করে পার্লামেন্ট।
এ ঘটনাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ অভিহিত করে প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি’র নেতা ওযগার ওযেল বলেছেন, ‘আইনপ্রণেতারা একে অপরকে আঘাত করেছেন। এমনকি নারীদের গায়েও হাত তুলেছেন। পুরো বিষয়টিই গ্রহণযোগ্য নয়।’
কুর্দিপন্থি ডিইএম পার্টির প্রধান গুলিস্তান কোসিগিত বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল গায়ের জোরে বিরোধীদের চুপ রাখার চেষ্টা করছিল।
টিআইপি তাদের নেতাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, হাতাহাতির ঘটনা তুরস্কের পার্লামেন্টের অহরহ না ঘটলেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। মারপিটে না গড়ালেও গত জুনে একেপি ও ডিইএম পার্টির দুই সদস্য তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন।
Leave a Reply