মহসিন মুন্সী, ব্যুরো চীফ, ফরিদপুর।
ফরিদপুর শহরের ঝীলটুলি এলাকায় বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে ডা. ফিরোজা বেগম (৫৫) নামের এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ পোস্ট মর্টেম এর জন্য প্রেরন করে।
নিহত ফিরোজা বেগম ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নিরঞ্জন কুমার দাসের স্ত্রী। তিনি নিজেও একজন অবসরপ্রাপ্ত চক্ষু চিকিৎসক। সকাল ১১টার দিকে নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ভবনের ছাদে যান ফিরোজা বেগম। এরপর সেখান থেকে লাফিয়ে পড়ে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ফিরোজা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পার্শ্ববর্তী ফ্লাটের লোকজন জানান, সোমবার সকালে ডাক্তার ফিরোজা বেগমকে ওয়াসিত্ব টাওয়ারের ১১ তলার ছাদে হাঁটাহাঁটি করতে দেখা যায়। ডা. নিরঞ্জন কুমার হিন্দু সম্প্রদায়ের হলে ও ডা. ফিরোজা বেগম মুসলিম ছিলেন। তারা একে অপরের চেনাজানা থেকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ নিয়ে হয়তো উভয়ের মধ্যে কিংবা পরিবারের মাঝে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে পরিবার ও প্রতিবেশীদের কারো কারো ধারণা।
ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার ওয়াশিত্ব টাওয়ার-২-এর ১১ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যান তিনি। তারা সপরিবার ওই ভবনের সপ্তম তলায় নিজেদের ফ্ল্যাটে থাকতেন। তাদের উচ্চমাধ্যমিকে পড়ুয়া একমাত্র কন্যাসন্তান রয়েছে। ডা. ফিরোজা বেগম ফরিদপুর জহুরুল হক চক্ষু হাসপাতালের চোখের ডাক্তার হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, “খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ফিরোজা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।”
Leave a Reply