December 26, 2024, 9:34 pm

শিবগঞ্জ রায়নগর সেকেন্দ্রবাদ পূর্বপাড়া জামে মসজিদে রমজান মাস নিয়ে আলোচনা করেন হারুন।

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, মার্চ ১১, ২০২৪

মোঃ জান্নাতুল নাঈম
বগুড়া শিবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ


সেকেন্দ্রাবাদ পূর্বপাড়া জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মোঃ হারুনুর রশিদ মাহে রমজান মাস নিয়ে অত্র মসজিদে আলোচনা করেন, তিনি বলেন একটি বছর পর আমাদের মাঝে মাহে রমজান ফিরে পেয়েছি। এই মাসে আমাদের জীবনের সকল গুনা মাফ করে নিতে পারি। সঠিক ভাবে সিয়াম( রোজা) রাখার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন, রোজা আমাদের প্রত্যেক মুসলমানদের উপর ফরজ, তাই আমরা মানুষ দেখানো রোজা না করে, আল্লাহ কে রাজি, খুশির জন্য রোজা রাখার চেষ্টা করবো।
তিনি সকল মুসল্লিদের উদ্দ্যেশে কয়েকটি হাদিস বলেন,
রমজান মাসে আমাদের সকল মুসলমানদের করনীয়     রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :—
যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপ ক্ষমা করাতে পারেনি তার নাক ধুলায় ধূসরিত হোক। তাই রমজান মাস তওবা ও ক্ষমা পাওয়ার মাস হিসেবে গ্রহণ করে সে অনুযায়ী আমল করা উচিত।  অনেকের ধারণা রমজান মাস সিয়াম পালন ও তারাবীহ আদায়ের মাস। না, ব্যাপারটা শুধু এ টুকুতে সীমিত নয়।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :—যে রমজান মাসে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে রাতে সালাত আদায় করবে তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :—সিয়াম ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে…।
হাদিসে এসেছে, রমজানে জিবরাইল রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে কোরআন পাঠ করে শোনাতেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্ণ কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে জিবরাইলের কাছে তুলে ধরতেন। আল-কোরআন তিলাওয়াত হল সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির। সিয়াম পালনকারী এ জিকির থেকে বঞ্চিত থাকতে পারেন না। আল-কোরআন তিলাওয়াতের একটি সঠিক দিক-নির্দেশনামুলক প্রবন্ধ এ বইয়ের শেষ দিকে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। পাঠক এ থেকে উপকৃত হতে পারবেন। যদি কেউ কোরআন তিলাওয়াত করতে অপারগ হন তাহলে বিভিন্ন তাসবীহ, তাহলীল, তাহমীদ আদায়ের মাধ্যমে মুখে আল্লাহর জিকির অব্যাহত রাখবেন।
যেমনটি হাদিসে এসেছে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :—রমজান মাসে ওমরাহ আদায় আমার সাথে হজ আদায়ের সমতুল্য।
ইসলামি শিক্ষা হল সকল প্রকার শিক্ষার মূল। তা ছাড়া দুটি বিষয় লক্ষ্য করা খুব জরুরি
এক. ইসলামের সকল ইবাদত-বন্দেগি সঠিকভাবে আদায় করতে হলে ইসলামি শিক্ষা অর্জন করতে হয়। এ ব্যাপারে কোন ওজর-আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। সালাতের নিয়মকানুন, সিয়ামের বিধান, জাকাতের নিয়ম-নীতি, হজের আহকাম না শিখে এগুলো আদায় করা যায় না।
দুই. আল-কুরআনের তফসির শেখা ও অধ্যয়ন অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে আমরা যে সকল সূরা-কেরাত সালাতের মাঝে পড়ে থাকি সেগুলোর মর্ম অনুধাবন করে তিলাওয়াত করা দরকার। কাজেই রমজান মাসকে আমরা ইসলামি শিক্ষা অর্জন ও শিক্ষা প্রসারের একটি সুযোগ হিসেবে নিতে পারি। মূর্খতার অবসান ঘটানো সিয়ামের একটা গুরুত্বপূর্ণ দাবি।
যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :-
যে মিথ্যা কথা ও কাজ এবং মূর্খতা পরিত্যাগ করতে পারল না তার পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।
হাদিসটি দ্বারা স্পষ্ট বুঝে আসে যদি মূর্খতা পরিহার না করা হয় তবে সিয়াম আল্লাহর কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। আর মূর্খতা ত্যাগ করা যাবে শুধু শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category