মো: আকাশ ইসলাম ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, দুর্গাপুর
রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার মোড়ে ফিরোজ আহম্মেদ (৩৮) নামের এক পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেছেন এক যুবক।
আজ রোববার বেলা ১টা ৫০মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আহত ফিরোজ আহম্মেদ দুর্গাপুর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন।
এদিকে ধাওয়া করে অভিযুক্ত যুবক সেলিম রেজাকে (২৫) ধরে পুলিশে দিয়েছেন পথচারীরা। সেলিম উপজেলার হোজা গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। তবে কী কারণে ওই যুবক পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করল, এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ মোটরসাইকেলে পুলিশের ড্রেস পরিহিত অবস্থায় থানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসছিলেন। এ সময় ওই যুবক দৌড়ে গিয়ে তাঁর বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করেন। তখন ওই পুলিশ সদস্য ফিরোজ মোটরসাইকেল দ্রুত টেনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছু দূরে যেতেই তিনি পড়েন যান। পরে পথচারী ও থানার পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তামান্না খানম বলেন, তাঁর বুকের ডান পাঁজরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অনেকটাই জখম হয়েছেন। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার স্বাস্থ্যর অবনতি দেখে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ধাওয়া করে ছুরি হাতে আটক করার পর থানায় কথা বলার সময় সেলিম জানান, তিনি আপেল খাওয়ার জন্য ছুরিটি কিনেছিলেন। ওই পুলিশ সদস্যকে ইচ্ছে করে ছুরিকাঘাত করেননি। কীভাবে যেন লেগে গেছে।
অপর দিকে আহত পুলিশ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদের কাছে সহকর্মীরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘ওই যুবককে আমি চিনি না। কোনো দিন দেখিওনি। থানা থেকে বের হতেই একটা যুবক দৌড়ে এসে ছুরিকাঘাত করে।’
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কী কারণে ওই পুলিশ সদস্যকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে রাস্তায় ছুরিকাঘাত করল—এটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ, তাঁরা একে অপরকে কেউ চিনে না। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
Leave a Reply