লক্ষ্মীপুরে পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। দিনে দিনে বাড়ছে বন্যায় আক্রান্তের সংখ্যা। জেলায় এখন প্রায় আট লাখ মানুষ পানিবন্দি। ত্রাণ সহযোগিতা খুবই কম আসছে। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো যে ত্রাণ দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এ ছাড়া সমন্বয়ের অভাবে কিছু মানুষ দুই-তিন বার ত্রাণ পাচ্ছে। আবার পানিবন্দি অনেক এলাকায় ত্রাণের গাড়ি ঢুকতে পাচ্ছে না।
সদর উপজেলার বাঙ্গাখা ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের গ্রামের ৪শ পরিবার পানিবন্দি, মানুষের ঘরে পানি উঠছে। পানি নামবে, এই আশায় কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে না। এখানে কেউ এখন পর্যন্ত ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসেনি।’
দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের ওমর ফারুক বলেন, ‘মূল সড়ক থেকে আমাদের বাড়ি দূরে হওয়ায় এখানে কেউ ত্রাণ নিয়ে আসেনি।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, জেলায় গত দুই দিনে দুই থেকে তিন ফুট করে পানি বাড়ছে আর নতুন করে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। এই মুহূর্তে ত্রাণ সহযোগিতা পাঠানো এবং মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য নৌকার প্রয়োজন। পানিবন্দি মানুষদের পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, শিশুখাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণ প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, লক্ষ্মীপুরে প্রায় আট লাখ লোক পানিবন্দি, জেলার সদর উপজেলার রামগঞ্জ নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকা বিশেষ করে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, উত্তর হামছাদী, বাঙ্গাখা, লাহার কান্দি, কুশাখালী, চরশাহী ইউনিয়নে মানুষ বেশি প্লাবিত হচ্ছে।
Leave a Reply