May 3, 2024, 6:39 pm

শেষ ওভারে হায়দরাবাদের কাছে হারলো পাঞ্জাব

জেড নিউজ খেলা ডেক্সঃ
  • Update Time : বুধবার, এপ্রিল ১০, ২০২৪
  • 17 Time View

আগের ম্যাচে শশাঙ্ক সিং ও আশুতোষ শর্মা ঝড় তুলে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে নাটকীয় জয় এনে দিয়েছিলেন পাঞ্জাব কিংসকে। এই দুই ব্যাটার আবারও জ্বলে উঠলেন। তবে নায়ক হতে পারলেন না। মঙ্গলবার শেষ ওভারের নাটকীয়তায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ২ রানে হেরেছে পাঞ্জাব।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বাজে হয়েছিল হায়দরাবাদের। প্রথমবার পাওয়ার প্লের মধ্যে তিন উইকেট হারায় তারা। এই ধাক্কা তারা সামলে ওঠে নিতিশ রেড্ডির ব্যাটে। ধীরে শুরু করলেও ইনিংস যত এগিয়েছে, তার ব্যাটে গতি উঠেছে। ৩৭ বলে ৪ চার ও ৫ ছয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন তিনি। আব্দুল সামাদের সঙ্গে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়েন নিতিশ। সামাদ ১২ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন। দুজনের ব্যাটে হায়দরাবাদের স্কোরে দুইশর কাছাকাছি রান ওঠার সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু ১৬তম ওভারের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে হায়দরাবাদ।

শাহবাজ ১৯তম ওভারে জোড়া বাউন্ডারি মারেন এবং শেষ বলে জয়দেব উনারকাটের ছক্কায় স্কোর একশ আশি পার করে দলটি। ৯ উইকেটে ১৮২ রান করে ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

আর্শদীপ সিং পাঞ্জাব কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন। নিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে দুটি করে উইকেট শিকার করেন ভারতীয় পেসার। হার্শাল প্যাটেল তাকে ভালো সঙ্গ দেন, কাগিসো রাবাদাও রানের লাগাম বেশ টেনে ধরেন। হার্শালের সঙ্গে সমান দুটি উইকেট পান স্যাম কারান, তবে ইকোনমি ছিল দশের ওপরে। ৪ ওভারে ৪১ রান দেন তিনি। তার চেয়েও বেশি ৪৮ রান দেন হারপ্রীত ব্রার।

লক্ষ্যে নেমে ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় পাঞ্জাব। ভুবনেশ্বর কুমার টানা দুই ওভারে প্রভসিমরান সিং ও শিখর ধাওয়ানকে হারায় তারা। স্যাম কারান ও সিকান্দার রাজা ওই ধাক্কা সামলে নিলেও রান রেট বাড়তে থাকে। কারান ও রাজা ২৯ ও ২৮ রানে থামেন।

গত ম্যাচের নায়ক শশাঙ্ক সিং ও আশুতোষ শর্মা মারকুটে ব্যাটিং করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। তবে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন।

শেষ চার ওভারে পাঞ্জাবের লাগতো ৬৭ রান। হায়দরাবাদই ছিল ফেভারিট। কিন্তু ভুবনেশ্বরের এক ওভারে শশাঙ্ক তিনটি চার মারেন এবং আশুতোষ কামিন্সের ওভারে পরপর দুটি চার হাঁকান। তাতে শেষ দুই ওভারে পাঞ্জাবের টার্গেট কমে দাঁড়ায় ৩৯ রান। নটরাজন সিং দুটি বাউন্ডারি হজম করলেও ইয়র্কার দিয়ে দুই ব্যাটারকে দমিয়ে রেখেছিলেন। মাত্র ১০ রান দেন তিনি।

শেষ ওভার ছিল নাটকীয়তায় ভরা। উনারকাটের ওই ওভারে তিনটি ক্যাচ ফেলে হায়দরাবাদ, দুটি বাউন্ডারির সীমানায়। তিনটি ওয়াইড ও তিনটি ছক্কা। শেষ বলে শশাঙ্ক ছয় মারলেও পাঞ্জাবকে হার মানতে হয় ২ রানে। ওই ওভারে তারা তোলে ২৬ রান। মাত্র ২৭ বলে ৬৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে। ২৫ বলে ৪৬ রানে শশাঙ্ক ও ১৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন আশুতোষ। পাঞ্জাব ৬ উইকেটে করে ১৮০ রান।

দারুণ খেলেও জিততে না পারার পেছনে মিসফিল্ডিংকে দায়ী করতে পারে পাঞ্জাব। কারণ হায়দরাবাদের ইনিংসের শেষ বলে উনারকাটের ব্যাটে ছক্কা না হয়ে ক্যাচ হতে পারতো। হার্শাল সীমানায় দাঁড়িয়ে ক্যাচ না ছাড়লে যে স্কোর ১৮০ পার হতো না।

পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম হায়দরাবাদ। সমান খেলে ২ পয়েন্ট পেছনে থেকে তাদের পরেই পাঞ্জাব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category