ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবার দাফন সম্পন্ন Logo আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল সিলেট Logo রাষ্ট্রদূত মুসফিকুল ফজল আনসারীর পিতার মৃত্যুতে মিফতাহ সিদ্দিকীর শোক প্রকাশ Logo পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে Logo আর্সেনাল ম্যাচের ১০ জনকে বেঞ্চে রেখে লিগে টানা হার পিএসজির Logo সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ২ জন: প্রতিবেদন Logo খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার Logo ফুলবাড়ীতে দুই একর জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী এর মতবিনিময় সভা Logo অনিয়মের অভিযোগে তিন ইউনিয়নে বিএনপি সম্মেলন স্থগিত

রেকর্ড রান তুলে জিতলো হায়দরাবাদ

স্পোর্টস ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৮৯৭ বার পড়া হয়েছে

২৭ মার্চ আইপিএল ইতিহাসের রেকর্ড দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৩ উইকেটে করেছিল ২৭৭ রান। ১৯ দিনের মাথায় দেখা গেলো হাই স্কোরিং ইনিংস উপহার দেওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তাদের। সোমবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজেদের করা সেই রেকর্ড আবারও ভেঙেছে তারা। এবার ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করেছে হায়দরাবাদ! এটিই এখন আইপিএলের সর্বোচ্চ টিম স্কোর। রেকর্ড সংগ্রহের পর বেঙ্গালুরুকে ২৫ রানে হারিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। দিনেশ কার্তিকের ৮৩ রানের ঝড়ের পরও ৭ উইকেটে ২৬২ রানে থেমেছে বেঙ্গালুরু। সপ্তম ম্যাচে এটি তাদের ষষ্ঠ হার!

বেঙ্গালুরুতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করেছিল হায়দরাবাদ। শুরুতে ওপেনিং জুটিতেই বড় স্কোরের ভিত পায় তারা। ৪৯ বলে ১০৮ রান যোগ করেন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। ২২ বলে অভিষেক ৩৪ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। এই জুটি ভাঙার পরই আগমন ঘটে বিপজ্জনক হাইনরিখ ক্লাসেনের। এই সময়ে হেডের সঙ্গে মিলে দুজনে যোগ করেন ৫৭ রান। শুরু থেকে তাণ্ডব চালানো হেড ৩৯ বলে দেখা পান সেঞ্চুরির। তার পর ৪১ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১০২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ততক্ষণে স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১২.৩ ওভারে ১৬৫! হেডের বিদায়ের পরই খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন ক্লাসেন। এইডেন মারক্রামের সঙ্গে দারুণ জুটির পাশাপাশি ছক্কা বৃষ্টি করতে থাকেন তিনি। ৩১ বলের ইনিংসে সাতটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ফার্গুসনের শিকার হওয়ার আগে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৭ রানে আউট হয়েছেন। তার পর ক্যামিও ইনিংসে শেষে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেছেন মারক্রাম ও আব্দুল সামাদ। মারক্রাম ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন। আব্দুল সামাদ ১০ বলে অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে! তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। ৫২ বলে ২টি উইকেট শিকার করেছেন লকি ফার্গুসন।

হায়দরাবাদের রেকর্ড ইনিংসের পর জবাবটা খারাপ ছিল না দু প্লেসিদের। কোহলির ঝড়েই ৬.২ ওভারে ৮০ রান যোগ করে তারা। কোহলি ২০ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রানে আউট হলে ঘটে ছন্দপতন। অপর সঙ্গী ও অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি ঝড় অব্যাহত রাখলেও পরবর্তী ব্যাটাররা দাঁড়াতে পারেননি। দ্রুত রজত পতিদারের (৯) আউটের পর ফাফ (৬২) ও সৌরভ চৌহানের (০) পতনে চাপে পড়ে যায় তারা। ফাফের ২৮ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। সঙ্গীদের ব্যর্থতায় ঠিক তখন একার লড়াইয়ে ম্যাচটা জমিয়ে তোলার চেষ্টায় ছিলেন দিনেশ কার্তিক। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেললেও তা যথেষ্ট ছিল না। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৭টি ছয়ের মার। কার্তিক আউট হতেই ৭ উইকেটে ২৬২ রানে থেমেছে বেঙ্গালুরু।

হায়দরাবাদের হয়ে ৪৩ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ৪৬ রানে দুটি নিয়েছেন মায়াঙ্ক মারকান্ডে। একটি নিয়েছেন টি নটরাজন। ম্যাচসেরা বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি হাঁকানো ট্রাভিস হেড।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রেকর্ড রান তুলে জিতলো হায়দরাবাদ

আপডেট সময় : ০৩:১২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

২৭ মার্চ আইপিএল ইতিহাসের রেকর্ড দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৩ উইকেটে করেছিল ২৭৭ রান। ১৯ দিনের মাথায় দেখা গেলো হাই স্কোরিং ইনিংস উপহার দেওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তাদের। সোমবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজেদের করা সেই রেকর্ড আবারও ভেঙেছে তারা। এবার ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করেছে হায়দরাবাদ! এটিই এখন আইপিএলের সর্বোচ্চ টিম স্কোর। রেকর্ড সংগ্রহের পর বেঙ্গালুরুকে ২৫ রানে হারিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। দিনেশ কার্তিকের ৮৩ রানের ঝড়ের পরও ৭ উইকেটে ২৬২ রানে থেমেছে বেঙ্গালুরু। সপ্তম ম্যাচে এটি তাদের ষষ্ঠ হার!

বেঙ্গালুরুতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করেছিল হায়দরাবাদ। শুরুতে ওপেনিং জুটিতেই বড় স্কোরের ভিত পায় তারা। ৪৯ বলে ১০৮ রান যোগ করেন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। ২২ বলে অভিষেক ৩৪ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। এই জুটি ভাঙার পরই আগমন ঘটে বিপজ্জনক হাইনরিখ ক্লাসেনের। এই সময়ে হেডের সঙ্গে মিলে দুজনে যোগ করেন ৫৭ রান। শুরু থেকে তাণ্ডব চালানো হেড ৩৯ বলে দেখা পান সেঞ্চুরির। তার পর ৪১ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১০২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ততক্ষণে স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১২.৩ ওভারে ১৬৫! হেডের বিদায়ের পরই খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন ক্লাসেন। এইডেন মারক্রামের সঙ্গে দারুণ জুটির পাশাপাশি ছক্কা বৃষ্টি করতে থাকেন তিনি। ৩১ বলের ইনিংসে সাতটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ফার্গুসনের শিকার হওয়ার আগে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৭ রানে আউট হয়েছেন। তার পর ক্যামিও ইনিংসে শেষে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেছেন মারক্রাম ও আব্দুল সামাদ। মারক্রাম ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন। আব্দুল সামাদ ১০ বলে অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে! তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। ৫২ বলে ২টি উইকেট শিকার করেছেন লকি ফার্গুসন।

হায়দরাবাদের রেকর্ড ইনিংসের পর জবাবটা খারাপ ছিল না দু প্লেসিদের। কোহলির ঝড়েই ৬.২ ওভারে ৮০ রান যোগ করে তারা। কোহলি ২০ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রানে আউট হলে ঘটে ছন্দপতন। অপর সঙ্গী ও অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি ঝড় অব্যাহত রাখলেও পরবর্তী ব্যাটাররা দাঁড়াতে পারেননি। দ্রুত রজত পতিদারের (৯) আউটের পর ফাফ (৬২) ও সৌরভ চৌহানের (০) পতনে চাপে পড়ে যায় তারা। ফাফের ২৮ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। সঙ্গীদের ব্যর্থতায় ঠিক তখন একার লড়াইয়ে ম্যাচটা জমিয়ে তোলার চেষ্টায় ছিলেন দিনেশ কার্তিক। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেললেও তা যথেষ্ট ছিল না। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৭টি ছয়ের মার। কার্তিক আউট হতেই ৭ উইকেটে ২৬২ রানে থেমেছে বেঙ্গালুরু।

হায়দরাবাদের হয়ে ৪৩ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ৪৬ রানে দুটি নিয়েছেন মায়াঙ্ক মারকান্ডে। একটি নিয়েছেন টি নটরাজন। ম্যাচসেরা বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি হাঁকানো ট্রাভিস হেড।