December 29, 2024, 9:08 am

সাংবাদিক জুয়েল খন্দকারের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
  • Update Time : রবিবার, জুলাই ১৪, ২০২৪

সাংবাদিক জুয়েল খন্দকারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জালালাবাদ ২নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলের সাহেদ ইকবাল বাবুর মিথ্যা আইসিটি মামলা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) কুমিল্লা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড দৈনিক সমাজকন্ঠ পত্রিকার অফিসে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিক নেতা ও সংগঠক সোহাগ আরেফিন বলেন ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড এর কাউন্সিলের সাহেদ ইকবাল বাবুর সাথে আমি কথা বললে তিনি বলেন, আমি জুয়েল খন্দকারকে চিনি না-জানিও না। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা কেন দেওয়া হয়েছে; উক্ত বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধিকাংশ সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন- জুয়েল খন্দকার আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছেন বলে তাকে আমি উক্ত মামলায় ১নং আসামী করে মামলা দায়ের করেছি। অন্যান্য সাংবাদিকরা বলেন বলেই তিনি মামলা দায়ের করে দেন বিশেষ কোন প্রমাণাদি ছাড়াই। এই কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর এর আগেও একাধিক সাংবাদিককে মিথ্যে মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন। গত কয়েকদিন আগেও কয়েকজন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলেই সাংবাদিকদেরকে মামলা দিয়ে রীতিমতো হয়রানি করেন তিনি। মনে হয় যেন সাংবাদিক দমনের মিশনে তিনি মাঠে নেমেছেন।

উক্ত প্রতিবাদ সভার সভাপতিত্ব করেন দৈনিক সমাজকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রবীণ সাংবাদিক নেতা জসীম উদ্দিন চাষী। উক্ত মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আদালতকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সাহেদ ইকবাল বাবুকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান।

মানবাধিকার সাংবাদিক সহায়তা সংস্থা (মাসাস)- এর চেয়ারম্যান মির্জা ফসিউদ্দিন বলেন জুয়েল খন্দকার সাংবাদিক নেতা, সাংবাদিকদের সুখে-দুঃখে সব সময় তিনি পাশে থাকেন। আর তাছাড়া জুয়েল খন্দকার অন্য পত্রিকায় কেন কাজ করতে যাবেন? সে নিজেই পত্রিকা সম্পাদনা করেন, তবে সে কি করে দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার রিপোর্টার হতে যাবে! অবিলম্বে উক্ত মামলা প্রত্যাহারের দাবী করে তিনি বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ জুলফিকার হোসেনসহ কাউন্সিলর বাবুর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

আরো বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সদস্য ও যমুনা টিভি, কুমিল্লা জেলার ব্যুরো চীফ রিপোর্টার খোকন চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানাই। আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলার বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির তৌহিদুল ইসলাম, দৈনিক সমাজকন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এ এইচ পারভেজ, কুমিল্লার ডাকের স্টাফ রিপোর্টার শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

উক্ত মামলার বিষয় সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার জানান, বর্তমানে আমি দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার ডেস্ক ইনচার্জ, সাপ্তাহিক দেশপত্র পত্রিকার সিটি সম্পাদক ও ঢাকা প্রেসক্লাব এর কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। যেখানে আমি আলোচিত দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার ডেস্ক ইনচার্জ ও সাপ্তাহিক দেশপত্র পত্রিকায় সিটি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি সেখানে আমি দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার রিপোর্টার হিসেবে কোন দুঃখে দায়িত্ব পালন করতে যাব? সম্প্রতি দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকা নামের একটি অনলাইন পোর্টালে চট্টগ্রাম ২নং জালালাবাদ এর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ হয় ও অপরুপ টিভি নামের একটি অনলাইন চ্যানেলে ভিডিও সংবাদ প্রকাশিত হয়। যাদেরকে আমি কখনো দেখিনি, জানিনা কিংবা কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুকেও আমি কখনো চিনতাম না, জানতাম না কিন্তু সে আমাকে কি কারণে আসামী করলেন; তা আমার আজও অজানা। উক্ত বিষয় মামলা হওয়ার পরে একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রেস রিলিজ দেয়া হয়, তখন আমার এক বন্ধু আমাকে পাঠালে আমি এই বিষয় হতবাক হই যে, কিভাবে মামলা দায়ের হলো আমার বিরুদ্ধে! উক্ত মামলা তদন্ত হিসেবে চট্টগ্রাম কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট পুলিশের এস আই হেলাল সাহেবের নিকট মামলার তদন্ত দিলে আমি তার সাথে অন্তত ৪ বার ঢাকায় দেখা করে তাকে বলি, উক্ত সংবাদ এবং মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তখন তিনি আমাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেবেন বলেও আশ্বাস দেন। কিন্তু কিছুদিন পরে সে বদলি হয়ে চলে যায় এবং উক্ত মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান এস আই মোঃ জুলফিকার হোসেন যার (বিপি নং- ৮৭০৬১০৮৬৯৩); আমি নিজে থেকে আগের তদন্ত কর্মকর্তার নাম্বার নিয়ে কল করে তাকে বলি যে আমি উক্ত মামলার সংবাদ এর বিষয়ে কাউকে চিনিনা জানিও না এবং আমি এই মামলা হওয়ার আগে প্রায় বছর খানেক যাবত চট্টগ্রাম যাইনি। তখন তিনি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে দেবেন বলে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে দর কষাকষি করে ২০ হাজারে এর কমে হবে না বললে, আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানাবো বললে তিনি আমাকে কাউকে না জানাতে বলে উক্ত মামলা থেকে আমাকে অব্যবহিত দেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু তিনি আমার থানায় একটি ইউয়েস রিপোর্ট প্রদান করলে আমার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ও আগের জন্ম নিবন্ধন এর কপি প্রদান করি। কিন্তু তিনি তদন্ত প্রতিবেদনে আমার বাবার নাম ভুল দিয়ে উক্ত মামলায় আমাকে ১নং আসামী ও দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার রিপোর্টার বানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category