নাজমুল হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর সামাজিক বন বিভাগ কর্তৃক ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বালি নগর এলাকার করতোয়া খালের দুই পাড়ে কোলা সুইজগেট হতে কোল্লাপাড়া ব্রিজ হয়ে গাড়াপোতা পর্যন্ত ২০২১-২০২২আর্থিক সনে পরিচালন ব্যয় খাতের আওতায় ২৫০০০টি বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপন করে ২৫ কিলোমিটার ( সিডলিং)সংযোগ সড়ক বাগান সৃজন করা হয়েছে। সামাজিক বনায়ন নীতিমালার আলোকে এ বাগান সৃজন করা হয়েছে। বাগানটিতে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ১৫৪ জন। ২৮জন মহিলা ১২৬ জন পুরুষ সদস্য বাগানের সম্পৃক্ত আছেন। বাগানটিতে মেহগনি, চিকরাশী, আকাশমনি, শিশু, জারুল, পেয়ারা, আমলকি, অর্জুন, কাঁঠাল, কৃষ্ণচূড়া, লেবু, ইপি লিপিল, নিম সহ মোট ২৮ প্রজাতির চারা রোপন করা হয়েছে। ১০ বছর পর বাগানের আবর্তকাল উত্তীর্ণ হলে বাগানের গাছ বিক্রয় পূর্বক বিক্রয়লুদ্ধ অর্থের ৫৫%শেয়ার উপকারভোগী সদস্যদের মাঝে সমভাবে প্রদান করা হবে। এছাড়া গাছ রোপনের অনুমতি প্রদানকারী ভূমির মালিক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ তাদের শেয়ার পাবেন। বাগানটির উপকারভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রোপিত গাছের সংরক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার রেখেছেন। যশোর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সহকারী বন সংরক্ষক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ফরেস্টারগণ ও অন্যান্য বন কর্মচারীগণ সময়ে সময়ে পরিদর্শন করে বাগানের ব্যবস্থা জোরদার রেখেছেন। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বালি নগর খালের পাড়ে সজ্জিত বাগানটি এলাকার দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশ সুন্দর মনোরম উন্নত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ফসলি জমিতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেন। বিভিন্ন শ্রেণীর পাক পাখালির কলরবে বাগানের সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাগানটিতে বালি নগর এলাকায় প্রতিদিন বিকালে ও ছুটির দিনে অনেক লোকজন সমাগম হয়। প্রকৃতির ছায়ায় বসে তারা শান্তি পান, আনন্দ উপভোগ করার পাশাপাশি বন বিভাগের সজ্জিত বাগানের প্রশংসা করেন। আগামীতে বাগানটি এলাকায় অর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হয়। এই মর্মে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান। অত্র উপজেলায় সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।
Leave a Reply