মানুষের চাহিদা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তনশীল। আজ মানুষ যা চায়, সময়ের দাবী মেটাতে কাল সেই চাহিদা ভিন্ন হয়ে যায়।
আপনি বিয়ের সময় নিজের জন্য শুধুমাত্র ‘স্ত্রী’ খোঁজেন। কিছুদিন পর যখন সন্তান জন্ম নেয়, তখন আপনি আশা করেন ঐ ‘শুধুমাত্র স্ত্রী’ যেনো ভালো মা হয়ে ওঠে। আপনার সন্তানকে ভালোভাবে তরবিয়ত দেয়।
কিন্ত আপনার এই আশা পূরণ হয় না। সন্তান ৫ টা সূরাহ ভালোভাবে শুদ্ধ করে শেখে না, সন্তান নবী (সা.) জীবনের সাধারণ ঘটনাবলী গুলাও জানে না, ইসলামের ইতিহাসের ৫ টা বীরের নাম সন্তান জানে না, সন্তানের উত্তম পরিচর্যা ও সুন্দর বিকাশ হচ্ছে না। কিভাবে হবে? সন্তানের মা নিজেই এগুলো জানে না। সে নিজেই গাফেল দ্বিন থেকে।
তখন আপনার মনে হয়, ‘সন্তানের মা হিসেবে আপনার স্ত্রী ভালো না’। যখন রান্না ভালো হয় না, তখন আপনার পরিবারের নিকট মনে হয় ‘রাধুনী হিসেবে এই মেয়ে ভালো না’। যখন আপনার বিপদে কথা দিয়ে দুইটা সাহস জোগানোর সময় আসে, তখন আপনার মনে হয় ‘বন্ধু হিসেবে এই মেয়ে ভালো না।’
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আপনার চাহিদা পরিবর্তন হয়, আর উক্ত মেয়ের ত্রুটি বেড় হতে থাকে। ফলে সংসারে কথা-কাটাকাটি হয়, অশান্তি হয়, বিচ্ছেদ ঘটে, নয়তো মেনে নিলে জাহেল একটা পরিবার জোটে।
দোষ কার? মেয়ের? না একদমি না। দোষটা আপনার। যখন আপনি বিয়ে করতে গিয়েছিলেন তখন শুধুমাত্র নিজের জন্য ‘স্ত্রী’ তালাশ করেছেন। শুধুমাত্র স্ত্রী তালাশ করতে আপনার যা যা চাহিদা গুরুত্ব পেয়েছে আপনি তাতেই সন্তুষ্ট থেকেছেন। সুন্দর অবয়ব, গোলগাল শরীর, সাদা চামড়া, পাতলা কোমর, নেকা কন্ঠ ইত্যাদি ইত্যাদি। তখন আপনি একবারের জন্যেও ভাবেননি যে এই পাতলি কোমর আমার সন্তানের মা হিসেবে কেমন হবে। পরিবারের কঠিন সময়ে আমার বন্ধু হিসেবে কেমন হবে। অতএব দোষটা আপনার।
বিয়ে করতে গিয়ে নিজের জন্য ‘স্ত্রী’ খোঁজা বাদ দিন। সন্তানের জন্য ‘মা’ খুজুন। স্ত্রী উভয় সুরতেই পেয়ে যাবেন আপনি। কিন্তু আপনার সন্তান ‘মা’ বলতে যা বোঝায়, তা উভয় সুরতে পাবে না।
উম্মাহর এখন পাতলি কোমরের সুন্দর অবয়বের নেকা কন্ঠের স্ত্রী দরকার নেই। উম্মহার এখন দরকার এমন মায়েদের, যাদের রত্নগর্ভ হতে খালিদ বিন ওয়ালিদ, আইউবি, আলীদের আবির্ভাব ঘটবে।
Leave a Reply