ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

টানা সপ্তম দিনের মতো হাড় কাঁপানো শীতে কাপছে নীলফামারীর জনজীবন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৮৬৬ বার পড়া হয়েছে

জিকে রউফ, নীলফামারীঃ হিমালয় ঘেঁষা উত্তরের জেলা নীলফামারীতে টানা ৭ দিন ধরে চলছে শৈত্য প্রবাহ। ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে গেছে চারিদিক। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত পড়ছে তুষারপাত। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাস সব মিলিয়ে শীতের প্রকোপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন।

গেল সাত দিন ধরে দেখা মেলেনি সূর্যের। খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষ। অপর দিকে, ঘন কুয়াশার চাঁদরে মোড়ানো রাস্তায় যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। বাড়ছে লেপ-তোষক তৈরি কারিকরদের ব্যস্ততাসহ শহরের পুরনো উষ্ণ কাপড়ের দোকান গুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

জানতে চাইলে, সদর উপজেলার রামনগর এলাকার দিন মজুর আশরাফ আলী (৪৫) সংবাদ কর্মীকে জানান, “গত কয়েক দিনের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় মাঠে কাজ করতে পারিনি। কিন্তু এভাবে আর কত দিন? কাজ না করলে তো পেটে ভাত যাবে না”
একই এলাকার আরেক দিন মজুর সোবহান আলী (৪৮) জানান, “গত সাত দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় গরু মহিষ নিয়ে মাঠে কাজ করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। আজ তো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত পড়ছে কুয়াশা”।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জেলার সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম জানান, “গত কয়েক দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় তিন কিলোমিটার। সাথে পড়ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত তুষারপাত। মূলত এই কারণেই শীত জেঁকে বসেছে। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টানা সপ্তম দিনের মতো হাড় কাঁপানো শীতে কাপছে নীলফামারীর জনজীবন

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

জিকে রউফ, নীলফামারীঃ হিমালয় ঘেঁষা উত্তরের জেলা নীলফামারীতে টানা ৭ দিন ধরে চলছে শৈত্য প্রবাহ। ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে গেছে চারিদিক। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত পড়ছে তুষারপাত। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাস সব মিলিয়ে শীতের প্রকোপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন।

গেল সাত দিন ধরে দেখা মেলেনি সূর্যের। খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষ। অপর দিকে, ঘন কুয়াশার চাঁদরে মোড়ানো রাস্তায় যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। বাড়ছে লেপ-তোষক তৈরি কারিকরদের ব্যস্ততাসহ শহরের পুরনো উষ্ণ কাপড়ের দোকান গুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

জানতে চাইলে, সদর উপজেলার রামনগর এলাকার দিন মজুর আশরাফ আলী (৪৫) সংবাদ কর্মীকে জানান, “গত কয়েক দিনের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় মাঠে কাজ করতে পারিনি। কিন্তু এভাবে আর কত দিন? কাজ না করলে তো পেটে ভাত যাবে না”
একই এলাকার আরেক দিন মজুর সোবহান আলী (৪৮) জানান, “গত সাত দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় গরু মহিষ নিয়ে মাঠে কাজ করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। আজ তো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত পড়ছে কুয়াশা”।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জেলার সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম জানান, “গত কয়েক দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় তিন কিলোমিটার। সাথে পড়ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত তুষারপাত। মূলত এই কারণেই শীত জেঁকে বসেছে। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।