ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবার দাফন সম্পন্ন Logo আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল সিলেট Logo রাষ্ট্রদূত মুসফিকুল ফজল আনসারীর পিতার মৃত্যুতে মিফতাহ সিদ্দিকীর শোক প্রকাশ Logo পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে Logo আর্সেনাল ম্যাচের ১০ জনকে বেঞ্চে রেখে লিগে টানা হার পিএসজির Logo সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ২ জন: প্রতিবেদন Logo খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার Logo ফুলবাড়ীতে দুই একর জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী এর মতবিনিময় সভা Logo অনিয়মের অভিযোগে তিন ইউনিয়নে বিএনপি সম্মেলন স্থগিত

স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক তরুণীর মৌলভীবাজারে অনশন

মনজু বিজয় চৌধুরী,মৌলভীবাজারঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:২৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৮৭৯ বার পড়া হয়েছে

টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এক কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করেও স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছেন না দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মৌলভীবাজারে এসে ছেলের বাড়িতে অনশনে বসেছে এক মেয়ে। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে ওই মেয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে ওয়াকিব আলীর (২২) স্ত্রীর দাবি করে ছেলের বাড়িতে অনশনে বসে। অনশনরত মেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার কান্দিপাড়া ভলাকুট এলাকার ফারুক মিয়ার মেয়ে হালিমা আক্তার (১৯)।

এ ব্যাপারে হালিমা আক্তার জানান, তার সঙ্গে টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ওয়াকিব আলী। এরই ধারাবাহিকতায় তার সঙ্গে ছেলের প্রেমের কথাবার্তা চলমান থাকাবস্থায় তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং বিয়ের জন্য পালিয়ে চট্টগ্রাম চলে যান। গত ৬ এপ্রিল সেখানে নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে বিবাহের যৌথ হলফনামামূলে ও কাজী অফিসে তাদের বিবাহ হয়েছে দাবি করে সে। কয়েকদিন পর নামাজের যাবার কথা বলে ওয়াকিব আলী ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তার পরিবারও তাকে মেনে নিচ্ছে না। কোনো সুরাহা না পেয়ে সে ছেলের বাড়িতে স্ত্রীর দাবিতে এসেছে। এখানেও ছেলের পরিবারও তাকে মেনে নিচ্ছে না, তাই কোনো পথ না পেয়ে সে অনশনে বসেছে।

এ দিকে ছেলের বাবা আপ্তাব আলী জানান গত মাসে ঈদের চারদিন পরে আমার ছেলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছে। আমার ছেলের একটা ব্যবসা ছিলো, সেখান থেকে আড়াই-তিন লাখ টাকা নিয়ে সেদিন মাগরিবের পরে দোকান থেকে চলে গিয়েছে। এর পরে আর আসেনি, আমরাও জানি নাই কোথায় আছে বা রয়েছে। তবে, আজ থেকে ৫-৬ দিন আগে শুনছি এলাকায় আসছিলো, কিছু মানুষ আমাকে বলেছিলো বাড়িতে তুলতে। কিন্তু তখন সে একা আসছিলো, মানুষ আমাকে বলেছিলো তাকে বাড়িতে তুলতে, এ সময় আমি বলেছি যে পুত্র আমার আড়াই-তিন লাখ টাকা খোয়াই দিয়েছে তাকে আমার দরকার নাই, এই রকম ছেলে আমি ত্যাজ্যপুত্র করে ফেলছি। বর্তমানে ছেলের খোঁজ খবর আমি জানি না।

এ ব্যাপারে খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আবু মিয়া চৌধুরী বলেন, পথিমধ্যে একটি মেয়ে এসে কান্নাকাটি করে বলেছে। এ সময় বিষয়টি সম্পূর্ণ শোনার ও বুঝার সময় ছিলোনা। মেয়েটিকে বলেছি থাকতে, আমি একটা বিচারে যাবো এবং এসে পরবর্তীতে বিষয়টি বিস্তারিত জানবো ও শুনবো।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক তরুণীর মৌলভীবাজারে অনশন

আপডেট সময় : ০৪:২৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এক কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করেও স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছেন না দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মৌলভীবাজারে এসে ছেলের বাড়িতে অনশনে বসেছে এক মেয়ে। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে ওই মেয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে ওয়াকিব আলীর (২২) স্ত্রীর দাবি করে ছেলের বাড়িতে অনশনে বসে। অনশনরত মেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার কান্দিপাড়া ভলাকুট এলাকার ফারুক মিয়ার মেয়ে হালিমা আক্তার (১৯)।

এ ব্যাপারে হালিমা আক্তার জানান, তার সঙ্গে টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ওয়াকিব আলী। এরই ধারাবাহিকতায় তার সঙ্গে ছেলের প্রেমের কথাবার্তা চলমান থাকাবস্থায় তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং বিয়ের জন্য পালিয়ে চট্টগ্রাম চলে যান। গত ৬ এপ্রিল সেখানে নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে বিবাহের যৌথ হলফনামামূলে ও কাজী অফিসে তাদের বিবাহ হয়েছে দাবি করে সে। কয়েকদিন পর নামাজের যাবার কথা বলে ওয়াকিব আলী ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তার পরিবারও তাকে মেনে নিচ্ছে না। কোনো সুরাহা না পেয়ে সে ছেলের বাড়িতে স্ত্রীর দাবিতে এসেছে। এখানেও ছেলের পরিবারও তাকে মেনে নিচ্ছে না, তাই কোনো পথ না পেয়ে সে অনশনে বসেছে।

এ দিকে ছেলের বাবা আপ্তাব আলী জানান গত মাসে ঈদের চারদিন পরে আমার ছেলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছে। আমার ছেলের একটা ব্যবসা ছিলো, সেখান থেকে আড়াই-তিন লাখ টাকা নিয়ে সেদিন মাগরিবের পরে দোকান থেকে চলে গিয়েছে। এর পরে আর আসেনি, আমরাও জানি নাই কোথায় আছে বা রয়েছে। তবে, আজ থেকে ৫-৬ দিন আগে শুনছি এলাকায় আসছিলো, কিছু মানুষ আমাকে বলেছিলো বাড়িতে তুলতে। কিন্তু তখন সে একা আসছিলো, মানুষ আমাকে বলেছিলো তাকে বাড়িতে তুলতে, এ সময় আমি বলেছি যে পুত্র আমার আড়াই-তিন লাখ টাকা খোয়াই দিয়েছে তাকে আমার দরকার নাই, এই রকম ছেলে আমি ত্যাজ্যপুত্র করে ফেলছি। বর্তমানে ছেলের খোঁজ খবর আমি জানি না।

এ ব্যাপারে খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আবু মিয়া চৌধুরী বলেন, পথিমধ্যে একটি মেয়ে এসে কান্নাকাটি করে বলেছে। এ সময় বিষয়টি সম্পূর্ণ শোনার ও বুঝার সময় ছিলোনা। মেয়েটিকে বলেছি থাকতে, আমি একটা বিচারে যাবো এবং এসে পরবর্তীতে বিষয়টি বিস্তারিত জানবো ও শুনবো।