লালমনিরহাটে তিস্তা নদীতে পাওয়া মেহেদি রাঙানো দুই হাত বাঁধা নিহত তরুণীর পরিচয় মিলেছে। সোমবার তার পরিবার তরুণীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আদিতমারী থানা পুলিশ।
এর আগে রবিবার তিস্তা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। সোমবার বিকালে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে ওই তরুণীর ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই তরুণীর নাম জোছনা আখতার (১৯)। তিনি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব খড়িবাড়ি গ্রামের জহর আলীর মেয়ে। নিখোঁজের ১৯ দিন আগে ডিমলার চাপানি গ্রামের জাহিদ হাসানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। জোছনা তার চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গত বুধবার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসেন। গত শুক্রবার বিকালের পর থেকে কোনও খোঁজ মিলছিল না।
পুলিশ জানায়, লাশের দুই হাত পেছন থেকে বাঁধা ছিল। গলায় ছিল মালা। মুখমণ্ডল ছিল ঝলসে যাওয়া। পরনে কালো রঙের জামা ও পায়জামা। দুই হাত মেহেদি দিয়ে রাঙানো ছিল। ইংরেজিতে লেখা ‘আই লাভ ইউ’।
এলাকাবাসীর দাবি, এটি হত্যাকাণ্ড। সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত অপরাধী সম্পর্কে জানা যাবে। তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলা হয়েছে।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, ওই তরুণীর জামাকাপড়, নাকফুল ও গলায় রুপার মালা দেখে তার আত্মীয়স্বজন উদ্ধার হওয়া মরদেহটি জোছনার বলে শনাক্ত করেছেন। তবে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করছি আমরা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে উপজেলার মহিষখোচার দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের তিস্তা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তরুণীর লাশ উদ্ধারের সময় তার পরিধানে কালো রঙের জামা-পায়জামা ছিল। দুই হাত পেছনে ওড়না দিয়ে বাঁধা। গলায় সিলভার রঙের মালা রয়েছে। তার হাতে মেহেদি রাঙানো এবং ইংরেজিতে ‘আই লাভ ইউ’ লেখা ছিল।
Leave a Reply