তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যাপক হামলার শিকার হয় সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লার বেশিরভাগ থানা। চালানো হয় ভাঙচুর, লুটপাট; ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। জেলার কোথাও কোথাও পুলিশ সদস্যরা হত্যারও শিকার হন।
এসব সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে জীবনরক্ষায় কর্মস্থল ছেড়ে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। ফলে কুমিল্লার ১৮ টি থানাতেই বন্ধ হয়ে যায় পুলিশি সেবা। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। তবে পুলিশের নতুন আইজি ময়নুল ইসলামের নির্দেশে কুমিল্লার থানাগুলোতে ধীরে ধীরে কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা, চালু হতে শুরু করেছে থানাগুলোর কার্যক্রম। পুরোদমে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু না হলেও স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে থানার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম। জিডি কিংবা অভিযোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা।
সোমবার (১২ আগষ্ট) সকালে কুমিল্লা কোতওয়ালী থানায় গিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থানায় অবস্থান করছেন পুলিশ। শুরু হয়েছে বিভিন্ন কার্যক্রম। এই বিষয়ে, কুমিল্লা কোতওয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা ইতিপূর্বেই থানার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমগুলো শুরু করেছি। যেকোনো সেবা প্রত্যাশীরা জিডি কিংবা অভিযোগ অনায়াসেই আমাদের ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে করতে পারবেন। আমি এবং আমার ডিউটি অফিসাররা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। থানার সেবা আমরা চালু করেছি।
এদিকে, পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে না থাকায় পুরো জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রায় প্রতি রাতেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সংঘবদ্ধ ডাকাতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিপদে পড়লে কার কাছে যেতে হবে, তা নিয়েও সংশয়ে ছিলো সাধারণ মানুষ
Leave a Reply