উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় হুঁশিয়ারির পরও মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।রোববার (১৯ মে) সকালে ধানমন্ডির নিজ কার্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভোট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির পক্ষ থেকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
টিআইবি জানায়, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের হুমকি-ধমকি সত্ত্বেও উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও কমেনি মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা। এ ধাপেও ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন। এর আগে প্রথম ধাপের ভোটে ছিল ১৩ জন।
টিআইবি আরও জানায়, দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পেয়েছে টিআইবি। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী এক হাজার ৮১১ জন। তার মধ্যে ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত, যা প্রতি চারজন প্রার্থীর একজন ঋণগ্রস্ত। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান ১৬৭ জন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জন।
টিআইবি জানায়, এ ধাপের নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। ১১৬ প্রার্থীর সম্পদ এক কোটি টাকা বা তার বেশি, শতকরা হারে যা ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মোট প্রার্থীর মধ্যে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রার্থী বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংস্থাটি জানায়, নির্বাচনে বিগত ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজার, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ।
পেশাগত বিশ্লেষণে প্রথম ধাপের মতে এ ধাপে প্রার্থীদের মধ্যেও রয়েছে ব্যবসায়ীদের আধিক্য। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ ব্যবসায়ী। এর আগে প্রথম ধাপেও পেশা হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৭০ শতাংশই ছিলেন ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৭ শতাংশ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের ২৪ শতাংশ ব্যবসায়ী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply