মোল্লা আজিজুল বরিশাল ব্যুরো প্রধানঃ
বরিশাল নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের আমানগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত ৮৩ নং মাহমুদিয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হয়ে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা খাতুনের স্টান্ড-রিলিজের খবরে ১৪ তারিখ রবিবার সকালে অভিভাবকগণ পরস্পরের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ও অনিয়মের দায়ে মাহমুদা খাতুনের শাস্তিমূলক বদলির আদেশটি বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা নিলুফার ইয়াসমিন গত ০৪ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে স্বাক্ষর করেন এবং উক্ত আদেশে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখের মধ্যে মাহমুদা খাতুনকে সকল দায়-দায়িত্ব হস্তান্তর করার কথা বলা হয় এবং ১১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ থেকে মাহমুদা খাতুন অবমুক্ত বলে গণ্য হবে।
এমন আনন্দের খবর শুনে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। একাধিক অভিভাবকগণ বলেন, অদক্ষতা, স্বেচ্ছাচারিতা, দায়িত্বে অবহেলা, আর্থিক অনিয়ম, উশৃঙ্খল আচরণ সহ এমন কোনো অভিযোগ নেই যেটা মাহমুদা খাতুনের নেই। মাহমুদা খাতুনকে এইবার নিয়ে দ্বিতীয়বার বদলীর আদেশ জারি করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
প্রধান শিক্ষিকার বদলির বিষয়ে উক্ত স্কুলের সভাপতি বলেন,স্কুলে বিভিন্ন অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার দায়ে তার নামে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল তারই প্রেক্ষিতে হয়তো তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ০৮ মে তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত তাঁর প্রথম প্রশাসনিক বদলির আদেশ জারি করা হয় যেখানে তাকে বরিশাল সদর উপজেলার নরকাঠি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়। তখনও তাঁর বদলির খবরে অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি এসেছিলো কিন্তু তিনি কোনো এক অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে সেই আদেশ ৫ দিনের মাথায় বাতিল করান।
Leave a Reply