মহসিন মুন্সী, ব্যুরো চীফ, ফরিদপুর।
ফরিদপুর-৩ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামছুল হক ভোলা মাস্টার। শনিবার বিকালে সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তিনি ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ কে আজাদের নির্বাচন সমন্বয়কারী শোয়েবুল ইসলাম বলেন, “শনিবার বিকালে শামছুল হক ভোলা মাস্টার নিজের ইউনিয়ন চর মাধবদিয়ায় যান। এ সময় হঠাৎ করেই চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশের নেতৃত্বে নৌকা সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় ভোলা মাস্টারসহ চারজন আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।”
এ বিষয়ে চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের ওপর আবার হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, “হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সব প্রার্থীর জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং সমানভাবে সহযোগিতা করবে।”
এরও আগে, সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর, অম্বিকাপুর, পৌর শহরের একাধিক হামলার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা হয়।
বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মধ্যে এই নির্বাচনে ফরিদপুর সদর আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে শামীম হকের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার ঈগল মার্কা র আব্দুল কাদের আজাদ ।
এ কে আজাদ বলেন, “প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই আমার কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। একাধিক হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এমনটি ঘটতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।” অপরদিকে নৌকা মার্কার প্রার্থী বলেছেন, “প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকেরা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা নানা কায়দায় মিথ্যা অভিযোগ তোলার চেষ্টা করছে। আমি ও আমার কর্মী সমর্থকরা নির্বাচন বিধি মেনেই কাজ করে চলছি।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফদিরপুরের ডিসি কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, “নির্বাচন হবে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ। এখানে কাউকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবে, এর ব্যত্যয় হওয়ার সুযোগ নেই।”
Leave a Reply