ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খাগড়াছড়িতে অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৮৩৬ বার পড়া হয়েছে

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা

খাগড়াছড়িতে জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও আহতদের সব চিকিৎসা খরচ প্রশাসন থেকে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে সভায় পরিস্থিতি উত্তরণে প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি, অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, ঘন ঘন টহল দেওয়া, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং জেলার প্রত্যেক উপজেলায় সম্প্রীতি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়িবাসীকে গুজব থেকে দূরে থাকতে হবে। কেউ কিছু বললো বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে বিশ্বাস করা যাবে না। প্রকৃত তথ্য জানতে হবে এবং সবাইকে জানাতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই প্রতিরোধ করতে হবে।’

এ সময় খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, জেলা বিএনপি সভাপতি ওয়াদুদ ভুঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহিদ, সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসনাত, মারমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাসাথোয়াই মারমা, চাকমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি অনিমেষ চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মিনহাজুর রহমান, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মজুমদারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়িতে সংগঠিত পাহাড়ি এবং বাঙালি দাঙ্গার পর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, জেলার দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালির সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে সদরসহ পুরো জেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাতের গোলাগুলি ও বিকালের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

খাগড়াছড়িতে অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

আপডেট সময় : ১০:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খাগড়াছড়িতে জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও আহতদের সব চিকিৎসা খরচ প্রশাসন থেকে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে সভায় পরিস্থিতি উত্তরণে প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি, অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, ঘন ঘন টহল দেওয়া, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং জেলার প্রত্যেক উপজেলায় সম্প্রীতি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়িবাসীকে গুজব থেকে দূরে থাকতে হবে। কেউ কিছু বললো বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে বিশ্বাস করা যাবে না। প্রকৃত তথ্য জানতে হবে এবং সবাইকে জানাতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই প্রতিরোধ করতে হবে।’

এ সময় খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, জেলা বিএনপি সভাপতি ওয়াদুদ ভুঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহিদ, সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসনাত, মারমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাসাথোয়াই মারমা, চাকমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি অনিমেষ চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মিনহাজুর রহমান, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মজুমদারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়িতে সংগঠিত পাহাড়ি এবং বাঙালি দাঙ্গার পর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, জেলার দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালির সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে সদরসহ পুরো জেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাতের গোলাগুলি ও বিকালের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।