ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবার দাফন সম্পন্ন Logo আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল সিলেট Logo রাষ্ট্রদূত মুসফিকুল ফজল আনসারীর পিতার মৃত্যুতে মিফতাহ সিদ্দিকীর শোক প্রকাশ Logo পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে Logo আর্সেনাল ম্যাচের ১০ জনকে বেঞ্চে রেখে লিগে টানা হার পিএসজির Logo সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ২ জন: প্রতিবেদন Logo খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার Logo ফুলবাড়ীতে দুই একর জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী এর মতবিনিময় সভা Logo অনিয়মের অভিযোগে তিন ইউনিয়নে বিএনপি সম্মেলন স্থগিত

নন্দীগ্রামে চাল মজুত না করেও জরিমানা, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৮৮৩ বার পড়া হয়েছে

শেখ ফরিদ স্টাফ রিপোটার

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কয়েকটি অটোরাইস মিলে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত চাল মজুত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। নিয়মিত তদারকি পরিদর্শন করছেন উপজেলার দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অন্যদিকে রণবাঘা এলাকার মেসার্স মায়ামনি অটোরাইস মিলে চাল সংরক্ষণে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করায় প্রতিষ্ঠানের ২৫হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার পাট পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কুরশিয়া আক্তার একদল পুলিশ নিয়ে মায়ামনি অটোরাইস মিলে অভিযান চালিয়েছেন। এসময় চাল সংরক্ষণে পাটের বস্তা ব্যবহার না করে ১০০টি প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন লঙ্ঘনের দায়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কুরশিয়া আক্তার। মায়ামনি অটোরাইস মিলের ম্যানেজার সোহেল বিশ্বাস বলেন, ঢাকাসহ সব জায়গায় চাল সংরক্ষণে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার হয়। পাটের বস্তা ১০০টাকা আর প্লাস্টিকের বস্তা মাত্র ২০টাকা। পাটের বস্তা ব্যবহার করে চালের দাম ১০০টাকা বেশি নিলেই আবার ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে ধরবে। ব্যবসা করব কি করে? ক্ষোভ প্রকাশ করেন চালকল সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির জানান, অতিরিক্ত চাল মজুত ঠেকাতে নিয়মিত তদারকি পরিদর্শনে গিয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি আদেশ মোতাবেক ধান ও চাল বিক্রয় করতে হবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ওসি, ওসিএলএসডি এবং ফুড ইন্সপেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার মায়ামনি অটো রাইস মিল, আকবর অটো রাইস মিল, বেলাল এন্ড ব্রাদার্স, আলহাজ্ব চালকল ও হাস্কিং কলগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। তাদের লাইসেন্স অনুযায়ী অনুমতি ধারণক্ষমতার চেয়ে সেগুলোতে কম চাল মজুত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নন্দীগ্রামে চাল মজুত না করেও জরিমানা, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী

আপডেট সময় : ০৭:২৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শেখ ফরিদ স্টাফ রিপোটার

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কয়েকটি অটোরাইস মিলে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত চাল মজুত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। নিয়মিত তদারকি পরিদর্শন করছেন উপজেলার দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অন্যদিকে রণবাঘা এলাকার মেসার্স মায়ামনি অটোরাইস মিলে চাল সংরক্ষণে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করায় প্রতিষ্ঠানের ২৫হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার পাট পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কুরশিয়া আক্তার একদল পুলিশ নিয়ে মায়ামনি অটোরাইস মিলে অভিযান চালিয়েছেন। এসময় চাল সংরক্ষণে পাটের বস্তা ব্যবহার না করে ১০০টি প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন লঙ্ঘনের দায়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কুরশিয়া আক্তার। মায়ামনি অটোরাইস মিলের ম্যানেজার সোহেল বিশ্বাস বলেন, ঢাকাসহ সব জায়গায় চাল সংরক্ষণে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার হয়। পাটের বস্তা ১০০টাকা আর প্লাস্টিকের বস্তা মাত্র ২০টাকা। পাটের বস্তা ব্যবহার করে চালের দাম ১০০টাকা বেশি নিলেই আবার ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে ধরবে। ব্যবসা করব কি করে? ক্ষোভ প্রকাশ করেন চালকল সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির জানান, অতিরিক্ত চাল মজুত ঠেকাতে নিয়মিত তদারকি পরিদর্শনে গিয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি আদেশ মোতাবেক ধান ও চাল বিক্রয় করতে হবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ওসি, ওসিএলএসডি এবং ফুড ইন্সপেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার মায়ামনি অটো রাইস মিল, আকবর অটো রাইস মিল, বেলাল এন্ড ব্রাদার্স, আলহাজ্ব চালকল ও হাস্কিং কলগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। তাদের লাইসেন্স অনুযায়ী অনুমতি ধারণক্ষমতার চেয়ে সেগুলোতে কম চাল মজুত রয়েছে।