আজ সন্ধ্যায় ৬টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, জেলার জুড়ী নদে বিপৎসীমার প্রায় ১৯৫ সেন্টিমিটার, ধলাই নদে বিপৎসীমার ২২ সেমি ও মনু নদীর চাঁদনীঘাটে ১১৯ সেন্টিমিটার ও রেলওয়ে ব্রিজে ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজার শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদী পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহনেওয়াজ সিরাজী জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর খামারের সংখ্যা ১১৬৮টি, আয়তন ২৬৮ হেক্টর।
ক্ষতিগ্রস্ত মাছের পরিমাণ ৩২৪ মেট্রিকটন, পোনামাছের পরিমাণ ৯১ লাখ। ক্ষতিগ্রস্ত মাছের মূল্য পাঁচ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত পোনা মাছের মূল্য প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। মৎস্য সম্পদের মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছয় কোটি ১১ লাখ টাকা।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, জেলায় ৩৯ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে আমান ধান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ এক হাজার হেক্টর।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সবকয়টি নদ-নদীর পানি ভয়ঙ্করভাবে বেড়েছে। নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন নদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামতের কাজ চলছে। এ ছাড়া জেলা শহরের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামতের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, মাইকিং করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা মালামাল নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, সাতটি উপজেলায় নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply