ঢাকা ০৩:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবার দাফন সম্পন্ন Logo আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল সিলেট Logo রাষ্ট্রদূত মুসফিকুল ফজল আনসারীর পিতার মৃত্যুতে মিফতাহ সিদ্দিকীর শোক প্রকাশ Logo পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে Logo আর্সেনাল ম্যাচের ১০ জনকে বেঞ্চে রেখে লিগে টানা হার পিএসজির Logo সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ২ জন: প্রতিবেদন Logo খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার Logo ফুলবাড়ীতে দুই একর জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী এর মতবিনিময় সভা Logo অনিয়মের অভিযোগে তিন ইউনিয়নে বিএনপি সম্মেলন স্থগিত

বাংলাদেশে বন্যার জন্য ডুম্বুর বাঁধ খোলা দায়ী নয়, দাবি ভারতের

জেড নিউজ ডেক্সঃ
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৮০৯ বার পড়া হয়েছে

ডুম্বুর বাঁধ খোলা

বাংলাদেশের কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনীসহ পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোয় যে বন্যা দেখা দিয়েছে সেটি ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার জন্য হয়নি বলে দাবি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমরা বাংলাদেশে এমন উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়তে দেখেছি যে ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলোতে বন্যার বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এটি তথ্যগত দিক থেকে সঠিক নয়।

এতে বলা হয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর অববাহিকায় গত কয়েকদিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে বন্যা মূলত বাঁধের নিচের দিকের এই বৃহৎ অববাহিকার পানির কারণে হয়েছে।

নয়াদিল্লির দাবি, ডুম্বুর বাঁধ দুই দেশের সীমান্ত থেকে বেশ দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে এটি ১২০ কিলোমিটারের বেশি উজানে অবস্থিত। এটি একটি কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ, যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এই বিদ্যুৎ থেকে বাংলাদেশেও ৪০ মেগাওয়াট যায়।

গত ২১ আগস্ট থেকে সমগ্র ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি প্রবাহিত হয়েছে বলে দাবি ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

প্রায় ১২০ কিলোমিটারের এই নদীপথে অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুরা-২ এ তিনটি পানি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। আর অমরপুর স্টেশনটি দ্বিপাক্ষিক প্রটোকলের অংশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে রিয়েল টাইমে বন্যার তথ্য পাঠায় ভারত।ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ২১ আগস্ট বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছে পানির ক্রমবর্ধমান প্রবণতার ডেটা সরবরাহ করা হয়েছে। তবে এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। তাই যোগাযোগের সমস্যা হয়েছে। তারপরও জরুরি ভিত্তিতে তথ্য বিনিময়ের জন্য তৈরি অন্যান্য মাধ্যমে আমরা যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশে বন্যার জন্য ডুম্বুর বাঁধ খোলা দায়ী নয়, দাবি ভারতের

আপডেট সময় : ১২:০৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশের কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনীসহ পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোয় যে বন্যা দেখা দিয়েছে সেটি ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার জন্য হয়নি বলে দাবি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমরা বাংলাদেশে এমন উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়তে দেখেছি যে ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলোতে বন্যার বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এটি তথ্যগত দিক থেকে সঠিক নয়।

এতে বলা হয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর অববাহিকায় গত কয়েকদিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে বন্যা মূলত বাঁধের নিচের দিকের এই বৃহৎ অববাহিকার পানির কারণে হয়েছে।

নয়াদিল্লির দাবি, ডুম্বুর বাঁধ দুই দেশের সীমান্ত থেকে বেশ দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে এটি ১২০ কিলোমিটারের বেশি উজানে অবস্থিত। এটি একটি কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ, যা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এই বিদ্যুৎ থেকে বাংলাদেশেও ৪০ মেগাওয়াট যায়।

গত ২১ আগস্ট থেকে সমগ্র ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি প্রবাহিত হয়েছে বলে দাবি ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

প্রায় ১২০ কিলোমিটারের এই নদীপথে অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুরা-২ এ তিনটি পানি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। আর অমরপুর স্টেশনটি দ্বিপাক্ষিক প্রটোকলের অংশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে রিয়েল টাইমে বন্যার তথ্য পাঠায় ভারত।ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ২১ আগস্ট বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছে পানির ক্রমবর্ধমান প্রবণতার ডেটা সরবরাহ করা হয়েছে। তবে এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। তাই যোগাযোগের সমস্যা হয়েছে। তারপরও জরুরি ভিত্তিতে তথ্য বিনিময়ের জন্য তৈরি অন্যান্য মাধ্যমে আমরা যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।