ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) এই অভিযোগ করেছে হামাস। এই হত্যাকাণ্ডের ফলে গাজা যুদ্ধ এবং লেবাননের সংকটের মধ্যে উত্তেজনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনী হামাস প্রধানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, হানিয়েহ ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে হত্যার শিকার হন এবং তারা বিষয়টি তদন্ত করছে।
ইসরায়েল থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য আসেনি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে, কিন্তু নতুন কোনও নিরাপত্তা নির্দেশনা জারি করেনি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ওয়াশিংটন উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করবে, তবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহায়তা করবে যদি তারা হামলার শিকার হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের পর গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, হামাস তার লক্ষ্য পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা হানিয়েহ হত্যার জবাবে তেহরানের কৌশল নির্ধারণ করবে বলে জানা গেছে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন এবং পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো সাধারণ ধর্মঘট ও বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে।
হানিয়েহ কাতারে বসবাস করতেন এবং গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে হামাসের আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
তার হত্যাকাণ্ড গাজার ১০ মাসের সংঘাতের মাঝখানে ঘটলো। যা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।