ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

প্রতিপক্ষের হামলা; বাদী যখন বিবাদী

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • / ১৮৭৩ বার পড়া হয়েছে

ফলোআপঃ মনোহরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বেতিয়াপাড়া গ্রামের ডাক্তার বাড়ির মৃত: আব্দুল আজিজ মুন্সীর ছেলে শামসুল আলম লিটন (৪০) পূর্ব শত্রুতার জেরে তার চাচাতো ভাই শেখ ফরিদের ছেলে রাশেদ (২২) বহিরাগত সন্ত্রাসী হাটিরপাড় গ্রামের সাদ্দাম (২৫) মোজাম্মেল (২২) আব্দুর রহিম (৬০) সহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে গত ২৯ জুন শনিবার ভোর ৫ টার দিকে শামসুল আলম লিটনের ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় বেধড়ক ভাবে এলোপ্যাথারিভাবে এসএস পাইপ ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দ্যেশে তাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে মারধর করেন এবং গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা করে।

তখন শামসুল আলম লিটন তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য চিৎকার করলে তার প্রতিবেশি এবং স্থানীয় লোকজন এসে তাকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করে। শামসুল আলম লিটনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হামলাকারীরা যাওয়ার সময় তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, লিটন ২৮ জুন শুক্রবার ২ লক্ষ টাকা মিশুক ক্রয় করার জন্য আত্মীয়ের নিকট থেকে ধার করেন। সেই টাকা রাত্রে ঘুমানোর সময় তার বিছানার নিচে রাখে। হামলাকারীরা তাকে বেদড়ক ভাবে মারার পরে তার হাতে থাকা ভিভো মোবাইল এবং তার বিছানার নিচে রাখা ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, তারা আমাকে পূর্ব থেকেই হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে, আমাকে হত্যা করে ফেলবে। এর আগেও তারা আমার উপর হামলা করেছে। এবার তারা সুযোগ পেয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমারকে প্রানে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই হামলা করে।
হামলাকারীরা উল্টো আমার বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

যেখানে আমি ভূক্তভোগী সেখানে আমি আসামী, পুলিশ একাধিকবার আমাকে গ্রেফতার করতে আমার বাসায় গিয়েছেন। আমি বর্তমানে চিকিৎসা নিয়ে আমার আত্মীয়ের বাড়িতে আছি। আমি ২ জুলাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট বিনীত অনুরোধ করছি।

উক্ত ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ ফরিদের ছেলেকে মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা থানায় মামলা করেছি মনোহরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছেন। তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানায় এ ধরনের কোন মামলা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রতিপক্ষের হামলা; বাদী যখন বিবাদী

আপডেট সময় : ১২:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

ফলোআপঃ মনোহরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বেতিয়াপাড়া গ্রামের ডাক্তার বাড়ির মৃত: আব্দুল আজিজ মুন্সীর ছেলে শামসুল আলম লিটন (৪০) পূর্ব শত্রুতার জেরে তার চাচাতো ভাই শেখ ফরিদের ছেলে রাশেদ (২২) বহিরাগত সন্ত্রাসী হাটিরপাড় গ্রামের সাদ্দাম (২৫) মোজাম্মেল (২২) আব্দুর রহিম (৬০) সহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে গত ২৯ জুন শনিবার ভোর ৫ টার দিকে শামসুল আলম লিটনের ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় বেধড়ক ভাবে এলোপ্যাথারিভাবে এসএস পাইপ ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দ্যেশে তাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে মারধর করেন এবং গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা করে।

তখন শামসুল আলম লিটন তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য চিৎকার করলে তার প্রতিবেশি এবং স্থানীয় লোকজন এসে তাকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করে। শামসুল আলম লিটনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হামলাকারীরা যাওয়ার সময় তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, লিটন ২৮ জুন শুক্রবার ২ লক্ষ টাকা মিশুক ক্রয় করার জন্য আত্মীয়ের নিকট থেকে ধার করেন। সেই টাকা রাত্রে ঘুমানোর সময় তার বিছানার নিচে রাখে। হামলাকারীরা তাকে বেদড়ক ভাবে মারার পরে তার হাতে থাকা ভিভো মোবাইল এবং তার বিছানার নিচে রাখা ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, তারা আমাকে পূর্ব থেকেই হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে, আমাকে হত্যা করে ফেলবে। এর আগেও তারা আমার উপর হামলা করেছে। এবার তারা সুযোগ পেয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমারকে প্রানে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই হামলা করে।
হামলাকারীরা উল্টো আমার বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

যেখানে আমি ভূক্তভোগী সেখানে আমি আসামী, পুলিশ একাধিকবার আমাকে গ্রেফতার করতে আমার বাসায় গিয়েছেন। আমি বর্তমানে চিকিৎসা নিয়ে আমার আত্মীয়ের বাড়িতে আছি। আমি ২ জুলাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট বিনীত অনুরোধ করছি।

উক্ত ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ ফরিদের ছেলেকে মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা থানায় মামলা করেছি মনোহরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছেন। তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানায় এ ধরনের কোন মামলা হয়নি।