মোঃ খান সোহেল নেত্রকোনা প্রতিনিধি
এ বছর পবিত্র মাহেরমজান, গ্রীষ্মকাল ও সেচ মৌসুম একই সময়ে হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেক্ষেত্রে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পেতে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী মো. মাসুদ আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ‘নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করব, আলোকিত বাংলাদেশ গড়বো’ স্লোগানকে সামনে রেখে নেত্রকোনা রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দফতরে বার্ষিক ২৬ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত ওই সভায় জিএম মাসুদ আহমেদ উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথি সকল বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির মূল্য বেড়েছে অস্বাভাবিক। সুতরাং অযথা কেউ বিদ্যুৎ অপচয় করবেন না। সচেতন হতে হবে বিদ্যুৎ চোরদের বিরুদ্ধেও। মনে রাখতে হবে বিদ্যুৎ চোর হচ্ছে দেশ ও জনগণের শত্রু।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতেও সভায় আলোকপাত করেন জিএম মাসুদ আহমেদ। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের তিনি বলেন, বাসাবাড়িতে বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত এয়ারকন্ডিশনের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরে রাখুন।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অপ্রয়োজনীয় আলোকসজ্জা পরিহার করে চলতে হবে। পিক-আওয়ারে রি-রোলিং মিল, ওয়াশিং-ওয়েল্ডিং মেশিন, ওভেন ও ইস্ত্রির ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। বন্ধ করতে হবে ইজিবাইক ও অটোরিকশার অবৈধ চার্জিং। অফপিক সময় অর্থাৎ রাত ১১ টা থেকে পরদিন সকাল ৯ টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে সেচ পাম্প।
অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব আলম। সমিতির সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরে এসময় বক্তব্য রাখেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী মো. মাসুম আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন আরও সমিতি বোর্ডের সহ-সভাপতি সত্যজিৎ সরকার, সচিব শরিফ আল মারুফ, কোষাধক্ষ্য নিনা নাসরিন, এলাকা পরিচালক মো. ফজলুল হক, মনোনীত এলাকা পরিচালক মো. শেখ কামাল, মো. আব্দুল গনি আকন্দ, সৈয়দ মোহাম্মদ মাকসুদুল হক, নুরজাহান আখতার খানম প্রমুখ।
বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের দেয়া হয় পুরষ্কার আর আয়োজন করা হয় র্যাফেল-ড্র।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে শুরু হয় নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পথচলা। সেই থেকে আবাসিক, শিল্প ও বাণ্যিজিক সেচ, দাতব্য সবমিলিয়ে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩২ হাজার ১৭২ জন। নেত্রকোনার ১০ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় পৌঁছে গেছে শতভাগ পল্লী বিদ্যুৎ
Leave a Reply