January 19, 2025, 8:02 pm

সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে বিজিবির লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে দুলাল ও হাতেম এর চোরাচালান ব্যবসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪

মোঃ আইয়ুব আলী গোয়াইনঘাট সিলেট প্রতিনিধি :
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাজিপুর এলাকার দুলাল ও হাতেম ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান ব্যবসা বেপরোয়া গতিতে ছুটছেন এই দুই চোরাকারবারি সীমান্তের সাথে তাদের বাড়ি থাকার কারণে দাপটের সঙ্গে চোরাচালান ব্যবসা করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না । দুলাল ও হাতেম প্রতাপপুর ক্যাম্পের বিজিবিকে ম্যানেজ করে দিন ও রাতের আধারে নিজেরা চোরাচালান ব্যবসা করেন অন্যদেরকেও সুযোগ করে দেন ।প্রতাপপুর বিজিবির লাইনম্যান হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। গোয়াইনঘাট উপজেলা ও জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাকারবারীদের এ সীমান্তে আসায় সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে । এলাকার অনেকেই জানান বিভিন্ন স্থান থেকে রাতের অন্ধকারে চোরাকারবারীদের বেপরোয়া আনাগোনায় তারা আতঙ্কে থাকেন ।তাদের ছেলেমেয়ে বউ বাচ্চাদের নিয়ে। প্রতাপপুর ক্যাম্পের নিরব ভূমিকা ওই এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ আতঙ্কের মাঝে জীবন কাটাচ্ছেন ।
সন্ধ্যা নেমে আসলেই শুরু হয় ট্রলি মোটরসাইকেল আরোহীদের বেপরোয়া গতিতে সীমান্তে আসা-যাওয়া । ট্রলি ও মোটরসাইকেলের, বিকট শব্দ দূষণের কারণে বাচ্চাদের লেখাপড়ায় সমস্যা হয় ও ঘরে অসুস্থ বয়স বৃদ্ধ মা বোনদের অনেক ক্ষতি ও সমস্যা দেখা দিচ্ছে । রাতে ঘুমাতে পারছেন না।
প্রতাপপুর সীমান্তের ওপারে থেকে ভারতীয় গরু মহিষ আসছে বাংলাদেশে। ভারতীয় গরু মহিষের সাথে বাংলাদেশের গরী ব অসহায় মানুষের ঘর থেকে গরু ছেড়ে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় গরুর সাথে । এসব গুরু মহিষ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না । প্রতাপপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশে নিষেধাজ্ঞ থাকলে ও নেই কোনো আইনি বাধা । হাজিপুর এলাকার দুলাল ও হাতেমের নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে এলাকার মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না স্থানীয় এলাকার হাজারো জনগোষ্ঠী । ঐ এলাকা দিয়ে ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী গুলোর মধ্যে রয়েছে গরু, মহিষ, চিনি, চা পাতা, পান, সুপারি ,কসমেটিক, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, জিরা, গুঁড়া মসলা,আলু, টমেটো,পিঁয়াজ,ডালিম, কমলা,
মাদক দ্রব্য সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে নিরাপদে ।
সীমান্তের বিজিবির সদস্যরা দুলাল ও হাতেম কে চোরাচালান ব্যবসা করতে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
তারা নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সূত্রটি জানান ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশের স্থানগুলো হচ্ছে পান্তূমাই, বাবুর কোনা, হাজিপুর, প্রতাপপুর, লামা পুঞ্জি, প্রতাপপুর পুঞ্জি, নশকিয়াপুঞ্জি, মন্দির ঘাট, পুরাতন সংগ্ৰাম পুঞ্জি, লন্ডনী বাজার, কাটারির খাল,মুগলিন , হয়ে চা বাগান দিয়ে ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী রাধানগর বাজারে নিরাপদে নিয়ে বাজার থেকে ডিআই, পিকআপ কাভার্ডভ্যানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে ভারতীয় এ সকল পণ্য।

এবিষয়ে জানতে দুলাল এর মোঠুফোনে যোগাযোগ করতে একাধিক ফোন দেওয়া হলে ফোন রিসিভ করেন নি তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে জানতে হাতেম এর মোঠুফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলে পরিচয় জানতে চেয়েছে সাংবাদিক পরিচয় দিলে ফোন কেটে দেন।
ফোন কেটে দেওয়ার পর কয়েক বার ফোন দিলে আর ফোন রিসিভ করেন নি।

এবিষয়ে জানতে প্রতাপপুর ক্যাম্প কমান্ডারের সেল ফোনে ফোন দিলে রিসিভ করে বলেন পরে কথা বলব এই বলে ফোন কেটে দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category