ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়পাঁকা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বিক্রির হিড়িকপ্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৮৯৯ বার পড়া হয়েছে

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে

নন্দীগ্রামে মামলা হওয়ার পরেও থেমে নেই পাঁকা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বিক্রির হিড়িক


শেখ ফরিদ,স্টাফ রিপোটার:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রির হিড়িক দিনদিন বেড়েই চলেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিয়মিত মামলা, জরিমানা করারও পরেও থেমে নেই পুকুরের মাটি বিক্রি হিড়িকের কার্যক্রম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১ নং বুড়ইল ইউনিয়নের রিধইল দক্ষিণ পাড়ায় ধোয়াগাড়ি নামক স্থানে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে একটি পুরাতন পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রি করছে ভেকু কন্টাকটার রিধইল গ্রামের মৃত জয়েন উদ্দিনের ছেলে মোঃ আবু জাফর (৫৫), মোজাম হোসেনের ছেলে আতিকুল ইসলাম (৩৫), একাব্বর হোসেনের ছেলে মোঃ ওবাইদুল ইসলাম (৪৫)। পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রি ও পাঁকা রাস্তা নষ্ট করার অপরাধে।

গত ১৯ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নন্দীগ্রাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উক্ত তিন জনের নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। মামলার হওয়ার কারণে তাদের কাজ বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু কিছুদিন পরেই।

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে পূনরায় রিধইল গ্রামের ধোয়া পুকুরে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে গর্ত করে পুকুর খনন করে সেই মাটি ড্রাম ট্রাকে করে রাতের আঁধারে স্থানীয় বিভিন্ন ব্যাক্তি ও স্থাপনায় বিক্রি করছে। এতে একদিকে পাঁকা রাস্তা নষ্ট করছে অপরদিকে পাঁকা রাস্তায় মাটি পড়ে দূর্ঘটনার ফাঁদ তৈরী হচ্ছে। ড্রাম ট্রাকে করে মাটি বহন করার ফলে রাস্তায় মাটির প্রলেপ পড়ে আছে। এতে ঘন কুয়াশা আর গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে ঘটবে বড় ধরণের দূর্ঘটনা।

এ বিষয়ে ভেকু কন্টাকটার আতিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মামলা হওয়ার পরেও কাজ চলছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার বলেন,গত ১৯ জানুয়ারি থানায় নিয়মিত তিনজনার বিরুদ্ধে হয়েছে এখনো কাজ চলমান থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

মামলা হওয়ার পরেও কাজ চলছে এই বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হুমায়ুন কবির কে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি ও সরকারি নাম্বারের হোয়াটসঅ্যাপে জানতে চাইলেও তিনি উত্তর দেয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়পাঁকা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বিক্রির হিড়িকপ্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়

আপডেট সময় : ০৯:১৫:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে

নন্দীগ্রামে মামলা হওয়ার পরেও থেমে নেই পাঁকা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বিক্রির হিড়িক


শেখ ফরিদ,স্টাফ রিপোটার:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রির হিড়িক দিনদিন বেড়েই চলেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিয়মিত মামলা, জরিমানা করারও পরেও থেমে নেই পুকুরের মাটি বিক্রি হিড়িকের কার্যক্রম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১ নং বুড়ইল ইউনিয়নের রিধইল দক্ষিণ পাড়ায় ধোয়াগাড়ি নামক স্থানে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে একটি পুরাতন পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রি করছে ভেকু কন্টাকটার রিধইল গ্রামের মৃত জয়েন উদ্দিনের ছেলে মোঃ আবু জাফর (৫৫), মোজাম হোসেনের ছেলে আতিকুল ইসলাম (৩৫), একাব্বর হোসেনের ছেলে মোঃ ওবাইদুল ইসলাম (৪৫)। পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রি ও পাঁকা রাস্তা নষ্ট করার অপরাধে।

গত ১৯ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নন্দীগ্রাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উক্ত তিন জনের নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। মামলার হওয়ার কারণে তাদের কাজ বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু কিছুদিন পরেই।

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে পূনরায় রিধইল গ্রামের ধোয়া পুকুরে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে গর্ত করে পুকুর খনন করে সেই মাটি ড্রাম ট্রাকে করে রাতের আঁধারে স্থানীয় বিভিন্ন ব্যাক্তি ও স্থাপনায় বিক্রি করছে। এতে একদিকে পাঁকা রাস্তা নষ্ট করছে অপরদিকে পাঁকা রাস্তায় মাটি পড়ে দূর্ঘটনার ফাঁদ তৈরী হচ্ছে। ড্রাম ট্রাকে করে মাটি বহন করার ফলে রাস্তায় মাটির প্রলেপ পড়ে আছে। এতে ঘন কুয়াশা আর গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে ঘটবে বড় ধরণের দূর্ঘটনা।

এ বিষয়ে ভেকু কন্টাকটার আতিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মামলা হওয়ার পরেও কাজ চলছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার বলেন,গত ১৯ জানুয়ারি থানায় নিয়মিত তিনজনার বিরুদ্ধে হয়েছে এখনো কাজ চলমান থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

মামলা হওয়ার পরেও কাজ চলছে এই বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হুমায়ুন কবির কে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি ও সরকারি নাম্বারের হোয়াটসঅ্যাপে জানতে চাইলেও তিনি উত্তর দেয়নি।