October 9, 2024, 12:38 am

দুর্গাপুরে শীতে কাপছে পাহাড় আগুন জ্বালিয়ে পাশে বসেসময় কাটাচ্ছে ছিন্নমূলরা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪

মোঃ খান সোহেল নেত্রকোনা প্রতিনিধ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পৌষের শীতে সূর্যের আলোর দেখা না পাওয়ায় বেড়েছে ঠান্ডার তীব্রতা। কনকনে ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশায় ভোরবেলায় মৃদু বৃষ্টির ছোয়া ঝরঝর করে নেমে থাকে উপজেলার সর্বত্র। বিশেষ করে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বসবাসরত গ্রামগুলির গারো-হাজংসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বাড়ির উঠানে আগুন জ্বালিয়ে আগুনের পাশে বসে সময় কাটাচ্ছে তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। উপজেলার কুল্লাগড়া ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর, লেংগুড়া, খারনৈ, কালিকাপুর, লক্ষীপুর, ভরতপুর, ফান্দা, বারমারী, নলুয়াপাড়া, ফারংপাড়া, দেবথৈল, ভবানীপুর, কোনাফান্দা। কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বিজয়পুর, আদিবাসির গুচ্ছগ্রাম, ছনগড়া, আরাপাড়া, রথের টিলাসহ অসংখ্য গ্রামের নিকটতম পাহাড়গুলি শীতের ঘনকুয়াশায় একাকার হয়ে যাওয়ায় কাপছে পাহাড়। চেনা যাচ্ছে না কোনটি গ্রাম আর কোনটি পাহাড় প্রতি বছরই শীতের দাপট তুলনা মূলকভাবে অন্যান্য জেলার চেয়ে বেশি সীমান্তঘেষা অঞ্চল গুলি। নতুন বছরের শুরুতে শীতের তীব্রতা কম থাকলেও, জানুয়ারির শুরু থেকে ঢেকে রেখেছে সর্যের মুখ দিনের বেলা দেখা যায় না। সন্ধার পর হতেই গুরি গুরি বৃষ্টি। ঘনকুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট চেনা যায় না। তবে সরকার থেকে যেসব ত্রাণর গরম কাপড় ও কম্বল দিয়ে থাকেন তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার সংবাদকে বলেন, কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন। খেটে খাওয়া মানুষজন ঘর বৈঠক হয়ে পরেছে। এমনকি দুরপাল্লার গাড়ি ঘন কুয়াশার কারণে চলাচল করতে পারছে না। অসহায় হয়ে পরেছে বাসের ড্রাইভার ও হেলপারগণ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category