বি এম মনির হোসেন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ-
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি বলেছেন- ’৭৫এর বঙ্গবন্ধুর পরিবার সদস্যদের ক্যু’র পরে ওরা কোন দিন ভোটের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় আসেনি। নির্বাচিত সরকার হটিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। তাই ওরা নির্বাচনে ভয় পায়। ওরা ক্ষমতায় থেকে কোন উন্নয়ন করেনি। উন্নয়ন হয়েছিল সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের। ওরা সৃষ্টি করেছে মুফতি হান্নান শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইর মতো সন্ত্রাসীদের। ওরা ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। এই সময়ে আওয়ামী লীগের ২৬হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ক্ষমতা দখলকারীদের জন্ম এই বাংলার মাটিতে হয়নি বলেই দেশের জন্য কি ভালবাসা থাকবে তাদের; আর কি উন্নয়ন করবে তারা জনগনের? আর শেখ হাসিনা এই মাটির সন্তান। য়ার ধমনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত। তাই দেশের প্রতি শেখ হানিনার দেশপ্রেম রয়েছে বলেই তিনি জনগনের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।বিএনপি’র প্রতি ইঙ্গিত করে মন্ত্রী আরও বলেন- আজ ওরা মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের কথা বলে ? সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র আর মানবাধিকার? যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল। লন্ডনে সংবাদ সম্মেলন করে সেই হত্যার বর্ণনা করেছিল। আর সেই হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাস ও উচ্চ পদে চাকুরী দিয়ে তারা পুরস্কৃত করেছিল। সেই হত্যার বিচার কার্যক্রম বন্ধ করতে আইন পাশ করা হয়েছিল। কোথায় ছিল সেদিন মানবাধিকার?
গৈলা মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে গৈলা শিশু নিকেতন মাঠে আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতবিনিময় সভায় গৈলা মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হালিমুজ্জামান হালিম এর সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মোঃ লিটন সেরনিয়াবাত এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী আরও বলেন- ক্ষমতা দখল করে রাস্ট্র পরিচালনাকারী সেই আব্দুস সাত্তার থেকে খালেদা জিয়া কারও জন্মই তো এই দেশের মাটিতে হয়নি। জনগনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন মুর্শিদাবাদ, কুচবিহার জলপাইগুড়িতে জন্ম নেয়া ক্ষমতা দখলকারীরা দেশের জনগন আর দেশকে ভালবাসবে? দেশের কি উন্নয়ন করবে তারা ? আর ধর্মের দোহাই দিয়ে চলা জামাত ইসলাম কি ধর্মের হেফাজত করে? তারা তো কোন ইসলামই নয়। তারা মওদুদী মতবাদে বিশ্বাসী। তারা পাকিস্তানের ভাবধারায় বিশ্বাসী। ইসলামের মূল ভিত্তির একটি হলো হজ্ব। যে জামাত মানুষকে ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনীতি করে সেই জামাতের কোন নেতা কি হজ্ব পালন করেছেন? জনতার উদ্যেশ্যে এমন প্রশ্ন রেখে বলেন- আপনারা পারলে কোন জামাতি নেতার হজ্ব পালনের সত্যতা প্রমান করুন; তাহলে আর রাজনীতি করবো না। আওয়ামী লীগ জনতার মধ্যে গঠণ করা দল। তাই জনগনের জন্যই রাজনীতি করি ; নিজের জন্য নয়। মিথ্যা বলে ভোট চাই না। আপনার সবকিছুর প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সবকিছু বিবেচনা কলে ৭ জানুয়ারি সকালে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন।
গৈলার মাটির সন্তান মন্ত্রী আরও বলেন- শেক হাসিনার সরকার চার মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে সারা দেশের যে উন্নয়ন করেছেন তার জন্য দেশ আজ বহিঃবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। আর এই গৈলার মাটিতে জন্ম নেয়া প্রয়াত সুনীল কুমার গুপ্ত বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সময়ে চার দফায় বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেলেও এলাকার কোন উন্নয়ন করেন নি। তার নিজের বাড়িতে যাবার ব্রীজটিও আওয়ামী লীগ সরকার নির্মাণ করে দিয়েছে। এর পরে মন্ত্রী আওয়ামী লীগ আমলে তার নির্বাচনী এলাকা গৌরনদী-আগৈলঝাড়াসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন চিত্রর অংশ বিশেষ জনতার উদ্যেশ্যে তুলে ধরে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। মতবিনিময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, গৈলা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকু হোসেন টিটু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান সেরনিয়াবাত আজাদ, কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিচ সেরনিয়াবাত, ছাত্রলীগের সভাপতি মিন্টু সেরনিয়াবাত, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাইক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম চানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
Leave a Reply